জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থী মাঠে


প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। এ পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে পাঁচজন, বিএনপির দু`জন, জামায়াতে ইসলামী ও নাগরিক সমাজের ব্যানারে একজন করে মোট ৯ জন মেয়র প্রার্থী গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছেন।

শহরসহ পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানানো ব্যানার ও ফেস্টুন তফশিল ঘোষণার পর পরই তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। যেহেতু এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জোর লবিং শুরু করেছেন।

পাশাপাশি ভোটারদের মাঝেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তৎপরতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিএনপির নেতাদের অভিমত সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, এবারের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই জয়লাভ করবেন।   

জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি নোয়াব আলী সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন। তিনি সাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস গ্রুপের প্রভাবশালী নেতা। বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর বিএনপির সভাপতি গতবারের পরাজিত প্রার্থী শাহজাহান কবীর। তিনি বিএনপির শিল্পপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু গ্রুপের নেতা। শাহজাহান কবীরের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে।

সম্প্রতি তিনি জামিনে হাজতমুক্ত হয়ে গণসংযোগ করছেন। অপরদিকে এখানে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্য দুুটি গ্রুপিং রয়েছে। এখানে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর ও জাতীয় সংসদের হুইপ সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন গ্রুপ সক্রিয়। গ্রুপিংয়ের কারণে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

তারা হলেন, গতবারের পৌর নির্বাচনে মাত্র ২৬ ভোটে পরাজিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফিক, কাউন্সিলর শেখ জয়নাল আবেদীন ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আ. সালাম ঈশা।

তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন ও আ. সালাম ঈশা স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর গ্রুপের প্রভাবশালী নেতা। পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম রফিক দলীয় মনোনয়ন না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও ভোট চাচ্ছেন। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পেলে তিনি পুনরায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন এমনটিই শোনা যাচ্ছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আ. সালাম ঈশা দলীয় মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি গ্রুপের নেতা জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মেয়র পদে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জামায়াতে ইসলামীর জীবননগর পৌর আমির মাওলানা সাজেদুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে, নাগরিক সমাজের ব্যানারে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক এম আর বাবু।  
 
এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।