সাংবাদিককে ফাঁসাতে গুম ও চুরির নাটক!
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক নারী সাংবাদিকের পরিবারকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ গুম ও চুরির সাজানো নাটক তৈরি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পৌর এলাকার দড়িসোম গ্রাম সংলগ্ন কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই নারী সাংবাদিক বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১১১৬) করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পৌর এলাকার দড়িসোম মৌজার সিএস ১নং খতিয়ানের সিএস ও এসএ ২৫ নং দাগের চার শতাংশ ভাওয়াল রাজ এস্টেটের সরকারি খাসজমি দড়িসোম গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের মেয়ে রুনা আহমেদ লিজ পান। কিন্তু গত ৮ নভেম্বর গভীর রাতে একই গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিনের দুই ছেলে লিটন মিয়া ও স্বপন মিয়া, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে নূর হোসেন, তার স্ত্রী লিপি বেগমসহ অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয় জোরপূর্বক বসতবাড়ি নির্মাণ করতে যায়।
এতে রুনা আহমেদের পরিবার বাধা দিলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। এ ঘটনার পরদিন সকালে রুনা আহমেদের মেয়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মাফুজা আফরিন মনি কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ (নং ২৯৮) ডায়েরি করেন। এরই জের হিসেবে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৫ মিনিকে আসামিরা ওই নারী সাংবাদিক ও তার পরিবারকে ফাঁসাতে মিথ্যা গুম ও চুরির নাটক সাজায়।
সাংবাদিক মনি জানান, তাদের বাড়ি সংলগ্ন বিবাদীদের জুতার দোকান থেকে গভীর রাতে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। ব্যাপারটি সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি থানার ওসিকে জানান। ওসি রাতেই থানার উপ-পরিদর্শক (এইআই) মো. ফরিদ উদ্দিনকে ঘটনাস্থল পাঠালে তিনি সাজানো ঘটনার সত্যতা পান। মনি আরও জানান, তিনি এবং তার পরিবার মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের ভয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনা সাজানো বলে স্বীকার করেছে। তাই আমি ঘটনাস্থল থেকে এসে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো ঘটনার বিয়য়টি জিডিতে নথিভূক্ত করেছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আব্দুর রহমান আরমান/বিএ