হাসপাতালে জামাইয়ের লাশ ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীসহ বেড়াতে গিয়ে লাশ হলেন জামাই। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পৌরশহরের ভাটাপুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলীর ছেলে ইবনে মুকুল (৪৫)।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার (৭ এপ্রিল) ইবনে মুকুল সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। রাতেই মুকুলকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, এ ব্যক্তি অনেক আগেই মারা গেছেন। চিকিৎসকের একথা শুনে লাশ ফেলে রেখে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন মুকুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
খবর পেয়ে মুকুলের পরিবারের লোকজন তার লাশ বাসায় নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ দাফনের জন্য প্রস্তুত করেন মুকুলের স্ত্রী ও তার ছেলে। কিন্তু ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে রাজি হননি চাচা আব্দুল লতিফ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার ভাতিজার সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন সে রাতে চরম খারাপ ব্যবহার করেন। তাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে।’ পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, মৃতব্যক্তির চাচার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই বোঝা যাবে, এটি আসলে হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।
তিনি আরও জানান বলেন, মৃতের চাচা আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি এজাহার থানায় দিয়েছেন। এটি মামলা হিসেবে রুজু করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তানভীর হাসান তানু/এসআর/জেআইএম