ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২১

ভিজিডির চাল বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। ফরিদা পারভীন নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিধবা ফরিদা পারভীন ভিজিডির চাল সংগ্রহের জন্য চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের কাছে গেলে তিনি অনলাইনে আবেদন করার পরামর্শ দেন। আবেদন করার পর কয়েকবার যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১-২২ অর্থবছরে চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম অনুমোদন দেয়া হয়। তিনমাস আগে ফরিদা পারভীন ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির চাল বিতরণের সময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টুর কাছে যান। মোস্তাফিজুর সাফ জানিয়ে দেন, তার নাম তালিকায় নেই।

ফরিদা পারভীন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার পর তার নাম ধরে ডাকা হয়েছে বলে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন। বিষয়টি জানার পর ফরিদা ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মুসাকে অবগত করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ফরিদা পারভীনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে যান। তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বইতে তার নাম লিপিবদ্ধ আছে বলে জানান। পরে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ফরিদা পারভীন।

jagonews24

ভুক্তভোগী ফরিদা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, ‘তালিকায় আমার নাম থাকার পর তিনবার চাল (৯০ কেজি) দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি একবারও পাইনি। কেন দেয়া হয়নি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এক মাসের চাল দিতে চান। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তালিকা থেকে নাম কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।’

জানতে চাইলে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু মুসা বলেন, ‘একজন অসহায় মহিলার চাল কিভাবে আত্মসাৎ করে তা আমার বোধগম্য নয়।’

৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টু বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমাকে যা বলতে বলেছেন আমি তাই বলেছি। তালিকায় ফরিদা পারভীন নামে একটা নাম আছে। তবে তার নাম কি-না আমি জানি না।’

তবে আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের দাবি, কম্পিউটার টাইপ করতে গিয়ে ভুল করে ভিজিডির তালিকায় ফরিদা পারভীনের নাম উঠেছে। তিনি বলেন, বিধবাকে ভিজিডির চাল বিতরণের নিয়ম নাই। তাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়া হবে। হুমকি দেয়ার অভিযোগটিও সঠিক নয় বলে জানান তিনি।

ধামইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ভিজিডির তালিকায় ফরিদা পারভীনের নাম রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

আব্বাস আলী/আরএইচ/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।