বেগমগঞ্জে এমপি ও সাবেক মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৪
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মামুনুর রশীদ কিরন এমপি ও সাবেক চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সাল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে চৌমুহনী পৌরসভার চৌমুহনী রেললাইন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলা পাল্টাহামলা, গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণে দু’পক্ষের অন্তত ১৪ নেতাকর্মী আহত হন। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, পূর্ব বিরোধের জেরে চৌমুহনী পৌর এলাকার গণিপুরের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ কর্মী টিটু ও করিমপুর এলাকার প্রান্তের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় চৌমুহনী বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার রাতে রেললাইন এলাকায় টিটু ও প্রান্ত গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুট্টু মার্কেটের সামনে সাবেক মেয়র ফয়সালের অনুসারী কাউন্সিলর জাহাঙ্গীরের লোকজন এমপি কিরন গ্রুপের শিহাবকে ঘেরাও করে তাদের দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডের পাশে হোসেন মার্কেটের ওপর থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় দু’পক্ষের ১৪ অনুসারী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মামুনুর রশীদ কিরনের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকাদার জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এফএ/এএসএম