মাগুরায় ২৭ মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে কামান্না দিবস


প্রকাশিত: ০৩:২৫ এএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

২৬ নভেম্বর কামান্না দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন ভোরে মাগুরার কামান্না গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর পাকসেনাদের হামলায় ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাদের মধ্যে বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি মাগুরার হাজীপুর এলাকায়।

এ শহীদদের স্মরণে মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে। এ দিনটি পালন উপলক্ষে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মাগুরার হাজীপুর ও শ্রীমন্তপুর এলাকা থেকে এক দল মুক্তিযোদ্ধা শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামে গিয়ে রাতে মাধবকুণ্ডুর বাড়ির পরিত্যক্ত বিশাল টিনের ঘরে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে  শৈলকুপা ও মাগুরা থেকে পাক সেনারা গিয়ে শেষ রাতে সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই ক্যাম্প ঘিরে ফেলে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। ঘুমে কাতর মুক্তিযোদ্ধারা আকস্মিক হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা গুলি ছুড়েও পাক সেনাদের প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন।

হানাদার বাহিনীর হামলায় ঘটনাস্থলেই শহীদ হন, মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর মৃধা, আ. মতলেব, আলী হোসেন, কাদের বিশ্বাস, মোমিন উদ্দিন, ওয়াহেদুজ্জামান, রিয়াদ মণ্ডল, শরীফুল ইসলাম, মুন্সি আলিউজ্জামান (ওরফে আরিফ মুন্সি), আজিজ, আকবর, মনিরুজ্জামান খান (ওরফে মনি খা), মাছিম মিয়া, মুন্সি রাজ্জাক (ওরফে রাজা), শহিদুল ইসলাম, সলেমান শিকদার, মো. আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম কাওছার মোল্ল্যা, আব্দুস সালেক মোল্ল্যা, সেলিম, হোসেন আলী (ওরফে আবুল হোসেন বিশ্বাস), খন্দকার রাশেদ হোসেন, গোলজার খাঁ, তাজরুল ইসলাম (ওরফে তাজু), আনিসুর রহমান আনিস, গৌর চন্দ্র রায় ও অধীর কুমার সিকদার।

পাক সেনারা চলে গেলে অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা এলাকাবাসীদের সহায়তায় কামান্না স্কুল মাঠের পাশে নদীর ধারে পাঁচটি গণ কবরে এ শহীদদের সামাহিত করেন।

মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।