মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে স্বজনদের আহাজারি
শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের অপেক্ষায় মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা। লঞ্চডুবির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ঘাটে আসতে থাকেন তারা। এ সময় অনেকের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রোববার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়।
অপেক্ষমাণ স্বজনরা জানান, কারো ভাই, কারো বাবা, কারো বোন ছিলেন ডুবে যাওয়া লঞ্চে। তবে এখনও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়িও ফেরেননি তারা। দুর্ঘটনার আগেও স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে অনেকের। তবে এরপর আর কারো কোনো খোঁজ নেই।
এদিকে এ পর্যন্ত বেঁচে ফেরা ৪ যাত্রী মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ বাড়ি ফিরেছেন ও দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শৈবাল বসাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেঁচে ফেরা যাত্রীরা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে নারী-শিশুসহ প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলো। চরসৈয়দপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি কার্গো ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতরে তীর উঠতে পারলেও অধিকাংশরাই ডুবে যান। বিশেষ করে নিচতলা ও কেবিনে আটকা পড়া নারী, শিশুসহ যাত্রীদের হদিস মেলেনি।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শীতলক্ষ্যা নদীর চরসৈয়দপুর এলাকায় ডুবে যায় লঞ্চ এম এল সাবিত আল হাসান। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১১টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে পাগলা কোস্টগার্ড স্টেশন সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
এফএ/এমকেএইচ