মামুনুল হককে আটকের খবরে ছাতকে হেফাজত অনুসারীদের হামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্ট থেকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে আটকের জেরে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরে স্থানীয় হেফাজত অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি থানা ও কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
থানায় হামলার আগে ছাতক পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। হামলায় ছাতক থানার দুইজন অফিসার ও পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে রাতেই ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানায় হামলার ঘটনায় আহত এসআই আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
তবে থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। হামলার পরপরই পৌর শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানা পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়নগঞ্জে আটক করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ছাতক পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীরা। এক পর্যায়ে পৌর শহরের দোকানপাট ও থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলায় থানা ভবনের সেবা চত্বরের গোলঘর ও অন্তত চারটি দোকান ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইট-পাথরের আঘাতে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই আনোয়ার মিয়া, এসআই সামছুল আরেফিন, কনস্টেবল রাকিব উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম, দিলশাদ মিয়া, রবিউল আলম ও সুবল দাস। আহত পুলিশ সদস্যরা ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, রাতে অতর্কিত কয়েকশ লোক থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুইজন অফিসার ও পাঁচজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৬ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৮ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
হামলায় থানার গোলঘর ও শহরের চারটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস