‘বাসযোগ্য’ না হওয়ায় সরকারি ঘরে ওঠেনি ২২ পরিবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম দফায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রায় ২০০টি বাড়ি বিনামূল্যে নির্মাণ করে দেয় সরকার। গত ২৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে সারাদেশে এসব বাড়ি হতদরিদ্রের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সেস এর মাধ্যমে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘরগুলো হস্তান্তরের প্রায় দু’মাস পার হলেও নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শিংরোইল গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর নির্মিত ঘরে প্রায় ২২টি পরিবার এখনও ওঠেনি।
শনিবার সকালে ওই গ্রামে প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়িগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্মিত এসব ঘরে কোনো লোকজনের বসবাস নেই। তালাবদ্ধ হয়ে অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ঘরগুলো।
ঘর হস্তান্তরের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এসব ঘরে এখনও না ওঠার কারণ জানতে চাইলে বিনামূল্যে ঘর পাওয়া সুবিধাভোগী মহবুল মেকার জাগো নিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রী এসব ঘর আমাদের বিনামূল্যে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা এসব ঘরের চাবি ও দলিলও হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু এসব বাড়ি এখনও বসবাস করার যোগ্য হয়নি। মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় নির্মিত এসব বাড়িতে নেই কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাবার পানির ব্যবস্থা। যার কারণে সার্বিক দিক বিবেচনা করে এসব বাড়িতে এখনও আমরা উঠিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাড়ি পাওয়া আরও একজন জানান, এসব বাড়ি এখনও বসবাস করার যোগ্য হয়নি। আমাদের গ্রামের মধ্যে সরকারি খাসখতিয়ানভুক্ত অনেক জমি ছিল, সেসব জায়গায় যদি বাড়িগুলো নির্মাণ করা হতো তাহলে নির্ভয়ে আমরা এতদিন বাড়িতে বসবাস শুরু করতাম। কিন্তু ফাঁকা মাঠের মধ্যে নির্মিত এসব বাড়িতে কিভাবে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করবো!
ফতেপুর ইউপির শিংরইল গ্রামের ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান জানান, হস্তান্তরের প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও অনেকেই এখনও এসব বাড়িতে ওঠেনি। সেখানে খাবার পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় তারা যেতে চাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জাগো নিউজে জানান, আমরা তো ঘর বুঝিয়ে দিয়েছি। লোকজন বাড়িতে উঠবে না কেন? খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এফএ/এমএস