টুঙ্গিপাড়ার ১৩ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২১

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া থেকে বরইভিটা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমন রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রতিদিন হাজারো মানুষ। প্রায় ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চে সংস্কার কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ হয়নি এখনো। বাঁশবাড়িয়া ব্রিজের মোড় থেকে তারাইল বাজার বরইভিটা হয়ে কোটালীপাড়া আসার একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা এখন বিপজ্জনক। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। প্রায়ই এসব গর্তে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আশপাশের দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। তারাও হচ্ছেন দুর্ভোগের শিকার।

jagonews24

চরগোপালপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন শেখ বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার এসব রাস্তা দেখে মনে হয়, এখনো আমরা আদিযুগে বসবাস করছি। যে যুগে রাস্তা-ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। আমি মনে করি, একটি দেশের রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

নাজমুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘দুই বছর আগে এই রাস্তার কাজ শুরু হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি যেন মরণফাঁদ। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের যানবাহন উল্টে যায়, রাস্তার কাদায় নষ্ট হয় তাদের পোশাক।’

ভৈরবনগর এলাকার স্কুলছাত্র আনন্দ বলে, ‘আমাদের রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আর বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে গেলে তো হাঁটার উপায়ই থাকে না।’

ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবিরুল আলম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সবসময় আমার এলাকাকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ অন্যান্য বড় ধরনের উন্নয়ন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই উন্নয়নগুলো সরকার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সার্বিক সহযোগিতা নিয়েই করা সম্ভব।’

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ও উপজেলার সহযোগিতা নিয়ে রাস্তার যেসব স্থানের অবস্থা খুবই বেহাল, সেই অংশগুলোতে আপাতত চলাচলের জন্য সংস্কার কাজ শুরু করেছি। আশা রাখি, এরপর পথচারী ও স্থানীয়রা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবেন।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী মো. ফয়সাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন অনৈতিক কাজের জন্য এর আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুদকের মামলায় জেলে আছেন। আমরাও জানি রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতি দ্রুত লাইসেন্স বাতিল করে ঠিকাদার চূড়ান্ত হলেই এই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। আমি আশা রাখি, কোনো বাধা না এলে আগামী এক বছরের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন গ্রামবাসীর চলাচলে আর সমস্যা হবে না।’

এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।