ভিজিডির ৮৫ বস্তা চাল শ্মশানঘাটে ফেলে পালালেন ট্রলিচালক
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের শ্মশানঘাট এলাকায় পাওয়া গেছে ভিজিডির ৮৫ বস্তা চাল। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব চালের বস্তা উদ্ধার করেন।
তবে ওই পরিত্যক্ত চালের বস্তার মালিকানা কেউ দাবি করেননি। বিক্রির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্টোর রুম থেকে চালগুলো সরানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রলিভর্তি চাল পাচারে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ট্রলিচালক শ্মশানঘাটে এগুলো ফেলে চলে যান এমন গুঞ্জন উঠেছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাওছার হাবীব শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে চাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সরকারি সিলযুক্ত বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তা ব্যবহার করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চালের বস্তাগুলো বৃহস্পতিবার রাতে একটি ট্রলি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ট্রলির চালক চালের বস্তাগুলো শ্মশান ঘাটের কাছে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যান। এলাকাবাসী রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামানকে জানান। ইউএনও তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার হাবিবকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ বলেন, গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সুবিধা ভোগীদের মধ্যে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। সুফল ভোগীরাই এই চালগুলো বিক্রি করে থাকতে পারেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ৮৫ বস্তা চাল উদ্ধার করে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাওছার হাবীব শুক্রবার এ বিষয়ে জানান, কেউ চালের মালিকানা দাবি না করায় বস্তাগুলো উদ্ধার করে রাতেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, তদন্তে ভিজিডির চাল প্রমাণিত হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমিন ইসলাম/এসআর/জেআইএম