সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরনারানদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, চরনারানদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ওবায়দুর রহমান ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ১৯৯০ সালে যোগদান করেন। ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসরে যান তিনি।
প্রধান শিক্ষক থাকাকালে তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মসহ নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, স্কুলের সুনামধারী একাধিক শিক্ষককে তিনি কারণ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলটির সহকারী শিক্ষক থাকাকালে নিয়োগ পদ্ধতির তথ্য গোপনপূর্বক সরকারি বিধি অমান্য করে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষকের পদে বসেন। বিএড সার্টিফিকেট ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার এসব অপকর্মের কারণে ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি ধ্বংসের পথে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে অভিযুক্তের সব অপরাধ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের বোন জামাই হওয়ায় এমন সব কাজ খুব সহজেই করতে পেরেছেন। ওবায়দুর রহমানের যাবতীয় দুর্নীতির ইন্ধন জুগিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মিজানুর রহমান। তাদের ক্ষমতার দাপটে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। প্রতিবাদ করায় একাধিক শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এলাকার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আমার প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করছে। স্কুলে চাকরিরত অবস্থায় কোনো ধরনের অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এমএইচএম/এসজে/জেআইএম