এসআই হাসানের আত্মহত্যা : পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছেন পাবনার এসপি
পাবনার আতাইকুলা থানার এসআই যশোরের কেশবপুরের বাসিন্দা হাসান আলীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
বুধবার বিকেলে হাসান আলীর কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, প্রয়াত হাসান আলীর বাবা আব্দুল জব্বার, মা আলেয়া বেগমসহ তাদের নিকট আত্মীয় ৮ জনকে বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ৮ জনকে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত দল ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি সম্ভাব্য তথ্য যাচাই করা হবে। হাসান আলী বিসিএস পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন, এ তথ্য ভুল। তার ব্যাচের কয়েকজন বিসিএস পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই তালিকায় হাসানের নাম নেই।
‘বিসিএস পরীক্ষার জন্য সে আবেদন করেছিল; এমন কোনো তথ্য-উপাত্তও আমাদের কাছে নেই। তারপরও সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, বাবা-মা ছাড়া পাবনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে, হাসান আলীর মেজ চাচা হাবিবুর রহমান, মেজ চাচি হালিমা বেগম, ছোট চাচা তবিবুর রহমান, ছোট চাচি শাহিদা খাতুন, এলাকার মেম্বার কামরুজ্জামান কামাল এবং মণিরামপুর থানার কোনাখোলা গ্রামের রবিউল ইসলামকে।
রবিউল ইসলাম একজন এনজিও কর্মী। তিনি প্রয়াত এসআই হাসান আলীর নিকট আত্মীয়। তিনি জানান, প্রয়াত হাসান আলীর একটি ডায়রি পাওয়া গেছে। সেটি এখন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে।
পেশায় ভ্যানচালক হাসান আলীর বাবা বলেন, রোববার সকালেও তিনি ভ্যান চালতে গিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম তিনি সন্তানের মৃত্যুর খবর পান।
এই চার দিনেও হাসানের বাবা-মায়ের চোখের পানি শুকায়নি। বারবার আহাজারি করছিলেন তারা।
বাবা আব্দুল জব্বার ও মা আলেয়া বেগম জানান, তারা কোনোদিন ছেলেকে টাকার জন্য বলেননি। ছেলে তাদের একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। ঈদের সময় কোরবানির জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়। হাসান যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই পুলিশের এসআই পদে চাকরি পেয়েছিলেন।
মিলন রহমান/এফএ/এমএস