বন্ধ রয়েছে ঝালকাঠির বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল
শ্রমিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঝালকাঠির বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ধর্মঘটের কারণে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-মঠবাড়িয়া, বরিশাল-পাথরঘাটা এই ছয় রুটের যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। দুর্ভোগের শিকার অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভাড়ার মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী বলেন, ‘মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বে-আইনি হলেও ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কে পুরোদমে চলছে অবৈধ মাহিন্দ্রা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। এর প্রতিবাদ করলে মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা বিভিন্ন সময় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয়।’
বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সোমবার (২২ মার্চ) রাত ১২টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাস টার্মিনালে থাকা ঝালকাঠি মালিক সমিতির কয়েকটি বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয় মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা। প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনার বিচার ও মহাসড়কে অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠির ওপর থেকে বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।’
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন, ‘রূপাতলির সুমন মোল্লা নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে আমাদের বাস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করা হয়। আমরা সুমন মোল্লার বিচার এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ সকল সরকারি দায়িত্বশীলদের কাছে আবেদন করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
মো. আতিকুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম