ধর্মপাশায় সংখ্যালঘুদের ওপর ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২২ মার্চ ২০২১

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার রেশ না কাটতে ধর্মপাশায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২১ মার্চ) দিবাগত রাতে জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের পাথারিয়া কান্দাগাঁও গ্রামের বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) আজিজুল হক ও তার পরিবার ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলায় আহতরা হলেন-সুবল বর্মণ (৩০), অমল বর্মণ (২৬) ও দীপ্ত বর্মণ (২৪)।

আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কান্দাগাঁও গ্রামে শত বছরের অস্থায়ী শ্মশানটিকে স্থায়ীভাবে রূপ দিতে গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে চাঁদা তুলে গ্রামের পশ্চিমে বিলের পাড়ে নতুন করে শ্মশান নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজের শুরু থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওই স্থানে শ্মশান না করার জন্য বাধা দিয়ে আসছেন। এজন্য শ্মশান নির্মাণকাজে কেউ যাতে ক্ষতি না করতে পারে, সেজন্য শ্মশান নির্মাণের পাশে ছোটঘর নির্মাণ করে দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন ওই গ্রামের মানুষ। রোববার রাতে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে পাহারারত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকদের ওপর হামলা চালান। এতে তারা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আজিজুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আহত সুবল বর্মণ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে ইউপি সদস্যসহ তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।’

সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউপি সদস্যের সঙ্গে ওই গ্রামে শ্মাশন নিয়ে একটা বিরোধ লেগেই ছিল। গতকাল রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল), উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি আমরা ঘটনাস্থলে আছি।’

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্ণব তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আহত অবস্থায় চারজন লোক হাসপাতালে এসেছিলেন। আমরা তিনজনকে ওষুধ লিখে দিয়েছি। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।’

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

লিপসন আহমেদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।