গাজীপুরে গ্যাস সম্প্রসারণ প্রকল্পে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু


প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্যাস সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রস্তাবিত গ্যাস লাইনের জমির ওপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। শ্রীপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এবং শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটারের দুটি গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইনের ওপর ওই স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল।

"
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম আলম জানান, গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের গ্যাস পাইপ লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পে গাজীপুরের অংশের জয়দেবপুর-শ্রীপুর অংশে ১২ কিলোমিটার এবং শ্রীপুরের ধনুয়া-টাঙ্গাইল অংশের আট কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের গ্যাস লাইন চিহ্নিত করার পর থেকেই ওইসব স্থাপনাগুলো নির্মাণ শুরু হয়।

"
তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত অথবা সংঘবদ্ধভাবে নামমাত্র আবাদি জমিতেও এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। আদালতের নির্দেশনা ও গণমাধ্যম এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে এরকম অভিযোগ আমরা পেয়েছি। গ্যাস লাইন স্থাপনের জমির উপর কিছু লোকজন অধিক অর্থ হাতিয়ে নিতেই অবৈধভাবে শত শত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। আর উচ্চ আদালতের নির্দেশেই এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

"
সোমবার দিনব্যাপি দুটি অংশে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক সামগ্রী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানকালে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মোস্তফা কামাল, গাজীপুরের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাজিদ আনোয়ার, গাজীপুরের আরডিসি মো. শরীফুল আলম তানভীর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

"
এসময়  র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন। উচ্ছেদ এলাকায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেয়। অভিযানে তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ, জিটিসিএলসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।

"
গাজীপুরের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাজিদ আনোয়ার জানান, সোমবার দুটি অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

"
মো. আমিনুল ইসলাম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।