২ দিনেও বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বটুলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও যুবক আব্দুল মুমিন বাপ্পার (৩০) মরদেহ ফেরত পায়নি পরিবার।
বর্ডার গার্ড বাংলদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওই বৈঠকে বাপ্পার মরদেহ আনার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাপ্পার বাবার আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমি আমার ছেলের লাশ ফেরত চাই। এ বিষয়ে বিজিবির কাছে আবেদন করলে তারা আমার আবেদনটি গ্রহণ করেননি। আমি বিজিবির কাছে অনুরোধ করছি, অনতিবিলম্বে আমার ছেলের লাশ যেন দেশে ফেরত আনা হয়।’
ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ জাগো নিউজকে জানান, ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাপ্পার মরদেহ ফেরত আনতে বিজিবি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিজিবির অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার জন্য সীমান্তে এরকম ঘটনা ঘটছে।
রোববার রাতে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ওপর থেকে নির্দেশ আসলে আমরা মরদেহ আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এখন পর্যন্ত ওপর মহল থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
উল্লেখ্য, শনিবার (২০ মার্চ) ভোরের দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ৮২৩ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে বাপ্পার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
এমএসএইচ/জেআইএম