হোটেল থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল নগরীর অভিজাত একটি আবাসিক হোটেল থেকে মিরন চন্দ্র হালদার (৩০) নামে এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর সদররোড সাহেবের গোরস্থান সংলগ্ন অভিজাত আবাসিক হোটেল এরিনার ষষ্ঠ তলার একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল এবং কক্ষ থেকে চেতনানাশক ও নেশাজতীয় ইনজেকশন এবং সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে।
মিরন চন্দ্র হালদার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের অরুন চন্দ্র হালদারের ছেলে। তিনি বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের কালীগঞ্জ এলাকা জাহানারা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, মিরন চন্দ্র হালদার শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হোটেল ওঠেন। রোববার সকালে তার কক্ষ ত্যাগ করার কথা ছিল। দুপুর ১২টার পর মিরন চন্দ্র হোটেলের যে কক্ষে ছিলেন, সেই কক্ষের দরজায় কর্মচারীরা ধাক্কা দিলেও কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এক ঘণ্টা ধরে দরজায় ধাক্কা দেয়ার পরও সাড়া না পাওয়ায় তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বিকল্প চাবি দিয়ে কক্ষে ঢুকে বিছানার ওপর মিরন চন্দ্রের মরদেহ দেখতে পায়।
পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আরও জানান, মিরন চন্দ্রের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার হাতে ক্যানুলা লাগানো ছিল এবং কক্ষ থেকে ২০টির বেশি চেতনানাশক ও নেশাজতীয় ইনজেকশন এবং সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে চার-পাঁচটি ইনজেকশনের অ্যাম্পুল ভাঙা ছিল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইনজেকশন দিয়ে নেশা করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অথবা অতিরিক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আরেক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
সাইফ আমীন/এসজে/এমকেএইচ