তুলে নিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবক আটক
তুলে নিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের হত্যার অভিযোগে রায়হান (১৯) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মার্চ) হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
রায়হান বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের ডা. আবদুল মোতালেবের ছেলে। ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় সাধুর হাট বাজার থেকে ওই ছাত্রীকে (১৬) জোর করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নেয় চরমটুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাকিব (২০) ও রায়হান (২১)। পরে তাকে মাইজদী বাজারের রেললাইনের পাশে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে রায়হানসহ একাধিক তরুণ তাকে ধর্ষণ করে।
বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী কৌশলে তার বড় বোনকে ফোন করে বলে- ‘আপু আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমারে এখান থেকে নিয়ে যা। আমি মাইজদীর আশ-পাশে আছি। তবে একবারে সঠিক ভাবে বলতে পারবোনা কোথায় আছি। আমি পরে তোদের সব বলব।’ এরপরেই ধর্ষণকারীরা ফোন বন্ধ করে দিয়ে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে।
দুপুর দেড়টার দিকে অভিযুক্ত রায়হান ওই ছাত্রীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় রায়হান মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আরএইচ/জেআইএম