শাল্লায় গভীর রাতে অভিযান, ২২ জন আটক
অডিও শুনুন
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অন্তত ২০-২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
তবে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানিয়েছেন, ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করার অভিযান চলছে। অভিযান পরিচালনার স্বার্থে আটকদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের ১৫০০ জনকে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ঘটনার উস্কানিদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) স্বাধীন মিয়াকে।
পুলিশ জানায়, গ্রামবাসীর পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। এই মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনকে আসামি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হক জানান, পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার বাদী সাবইন্সপেক্টর আব্দুল করিম। এই মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষে আরেকটি মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ ও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব মহাপরিচালক শাল্লার সন্তান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াগাঁও গ্রাম পরিদর্শন ও প্রেসব্রিফিং করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শান্তি ও গ্রামবাসীকে নিরাপদে বসবাসের আশ্বাস দেন। তার নির্দেশে গ্রামে অস্থায়ী রর্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মন্দিরসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ মার্চ) উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
লিপসন আহমেদ/এসআর/এমএস