যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূর চোখ উৎপাটনের চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২১

মাদারীপুরের কালকিনিতে যৌতুকের দাবিতে সাদিয়া (২১) নামে এক গৃহবধূর চোখ উৎপাটনের চেষ্টাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ নির্যাতনের ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। সোমবার সকালে ভুক্তভোগীর পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের কৃষক বারেক চৌকিদারের মেয়ে সাদিয়া বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার গুঙ্গিয়াকুল গ্রামের কাসেম মোল্লার প্রবাসী ছেলে নাসির মোল্লার প্রায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় নাসির মোল্লা স্ত্রী সাদিয়া বেগমকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

কিন্তু সাদিয়ার পরিবার অতি দরিদ্র হওয়ায় দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে করে নাসির মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার দুপুরে পরিবারের লোকজন নিয়ে সাদিয়ার দু’চোখ উৎপাটনের চেষ্টাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। সাদিয়ার পরিবার খবর পেয়ে উপজেলার ডাসার থানা পুলিশের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত সাদিয়ার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে স্বামী নাসির মোল্লাসহ ৮ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

মামলার বাদী পরভীন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, জামাই নাসিরের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে দিনের পর দিন প্রচণ্ড মারধর করে। তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আমার মেয়ের দু’চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। তাই আমি তাদের নামে মামলা করেছি।

অভিযুক্ত নাসির মোল্লার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলার ডাসার থানার এসআই মো. রিপন মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।