গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুয়াড়ি স্বামীর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুমা আক্তার ববিতা (৪০) নামের এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড়যুগ আগে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের জুয়ানপুর গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ে মাসুমা আক্তার ববির বিয়ে হয়। কিছুদিন ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরমধ্যে সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, সংসারে আয়-রোজগার করার পরিবর্তে জুয়া খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো মেয়ের জামাই জিয়াউর রহমান। এনিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। জুয়া খেলার টাকার জন্য তার মেয়ে ববিতার ওপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো। এমনকি পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে মাস খানেক আগে একমাত্র নাতনি তার বাড়িতে অবস্থান করছে।
সবমিলিয়ে সংসারে অশান্তি আর জুয়াড়ি স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে নিজ শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তিনি। এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে জুয়াড়ি স্বামী জিয়াউর রহমান। তাই ঘটনাটি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘বসতবাড়ির একটি ঘরে ওই গৃহবধূর মরদেহ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আরএইচ/জেআইএম