খুমেক হাসপাতালে বৃহৎ পরিসরে চালু হচ্ছে কিডনি বিভাগ
অত্যাধুনিক ৫০টি ডায়ালসিস মেশিন নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহৎ পরিসরে চালু হচ্ছে নেফ্রোলজি (কিডনি) বিভাগ। এতে খুলনার মানুষের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে।
বর্তমানে দেশে হেমোডায়ালাইসিসের প্রচলন বেশি। খুলনায় ২০৫ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে কিডনি রোগীদের জন্য হেমোডায়ালাইসিস করা হলেও অধিকাংশ মেশিন বছরের বেশিরভাগ সময় নষ্ট থাকায় কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয় রোগীরা। বেসরকারি পর্যায়ে কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এ অবস্থতায় এবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহৎ পরিসরে শুরু হচ্ছে নেফ্রোলজি বিভাগ। ইতিমধ্যে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে ৫০টি ডায়ালসিস মেশিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইতোমধ্যে চিকিৎসক পদায়ন হয়েছে। এসব মেশিন স্থাপন করে প্রয়োজনীয় জনবল সংযুক্ত করে শিগগিরই নেফ্রোলজি বিভাগ চালু হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে নতুন পদায়ন করা নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের জরুরি বৈঠকে অতি দ্রুত নেফ্রোলজি বিভাগ চালুর মাধ্যমে কিডনি রোগীদের সেবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন ৩৯টির মধ্যে ৯টি অকেজো। বাকি ৩০টির অবস্থাও ভালো নয়। এরপরও প্রতিদিন প্রায় ৯০ জনের ডায়ালসিস দেয়া হয় এই বিশেষায়িত হাসপাতালে। প্রতিদিন তিন শিফটে এ ডায়ালসিস দেয়া হয়।
শহীদ আবু নাসের হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরশাদ উল আজীম বলেন, যন্ত্রপাতি ও জনবলের সঙ্কট থাকলেও সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কিডনি রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এরপরও চিকিৎসকও কর্মরতরা সাধ্যের সের্বোচ্চ সেবা দিয়ে থাকেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, খুলনায় কিডনি রোগীদের অসহায়ত্ব দিন দিন বাড়ছে। খুলনায় মোট আক্রান্ত রোগীর খুব কম সংখ্যকই সরকারিভাবে সেবা পায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবনির্মিত ভবনে বৃহৎ পরিসরে নেফ্রোলজি বিভাগ চালু হচ্ছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসক পদায়ন করা হয়েছে। ৫০টি ডায়ালসিস মেশিন আসছে খুব শিগগিরই। এতে খুলনার মানুষের কিডনি চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচোন হবে।
আলমগীর হান্নান/এএইচ/জেআইএম