শ্বাসরোধে হত্যা : নিহতের স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে-জামাতা গ্রেফতার
নওগাঁয় পোরশা উপজেলার আব্দুল খালেক হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এরা হলেন- নিহতের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন, ছেলে খাইরুল ইসলাম, মেয়ে নাজমা বেগম ও জামাতা মোদাচ্ছের আলী।
দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলার পোরশা উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক নিখোঁজ হন। ঘটনায় তার ছেলে মাদরাসা শিক্ষক খাইরুল ইসলাম গত সোমবার (৮ মার্চ) বাবা নিখোঁজ হয়েছেন মর্মে সাধারণ ডায়েরি করতে পোরশা থানায় আসেন। এ সময় কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে খায়রুল ইসলাম, তার মা, বোন ও ভগ্নীপতি মিলে বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল আরও জানান, আব্দুল খালেক গত ৫ বছর ধরে তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। এ কারণে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি ঝগড়ার এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক মৌখিকভাবে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে এসে তাদের বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মাকে আনেন। এরপর থেকে কিছুদিন আব্দুল খালেক প্রতিবেশীর বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।
তিনি জানান, ছেলে-মেয়েরা বিষয়টি মীমাংসা করে আব্দুল খালেককে তাদের মায়ের সঙ্গে সংসার করতে অনুরোধ করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আব্দুল খালেককে পুনরায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ফাহিমা খাতুন, ছেলে খাইরুল ইসলাম, মেয়ে নাজমা বেগম ও জামাতা মোদাচ্ছের আলী গলায় মাফলার জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে আব্দুল খালেকের মরদেহ বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে করে ফেলে দিয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম মামুন খান চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুরাইয়া আকতার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সাপহার সার্কেল) বিজয় কুমারসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
আব্বাস আলী/এসজে/জেআইএম