জীবিত রনজিত ১০ বছর ধরে মৃত!
শ্রী রনজিত কুমার দাস (৭৪)। পেশায় একজন শ্রমিক। তিনি কুমারখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বিগত ১০ বছর ধরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে তাকে মৃত দেখানো হচ্ছে। ফলে তার নামে থাকা ভাতার কার্ডটি বাতিল হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, রনজিত এখন সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নির্বাচন, পৌর নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তার মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না।
শ্রী রনজিত কুমার দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার পরিচয়পত্র দিয়ে গত দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে বলা হয় তালিকায় আমার নাম নেই। আমাকে মৃত ঘোষণা করে হয়েছে। ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলেও বলে, আমার কার্ড সঠিক নয়। মোবাইলের সিম কিনতে গেলেও একই দশা হয়। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ডাটাবেজে আমার স্ট্যাটাসে মৃত লেখা রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘একজন জীবিত ব্যক্তিকে কীভাবে মৃত হিসেবে দেখানো যায়। এ ব্যাপারে আমি কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু তাতেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিনা আক্তার বানু বলেন, পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রী রনজিত কুমার দাসকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। কীভাবে এটা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই।
তিনি আরও বলেন, এখানে যোগদানের পর এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। ভুক্তভোগী যদি আবেদন করেন তাহলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আল-মামুন সাগর/এসজে/এএসএম