চার বছর অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলছেন শিক্ষক
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার শ্রীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জলিলুর রহমানের (ইনডেক্স নম্বর ২১৮৭২৯) বিরুদ্ধে বিএড সনদ জালিয়াতি করে বিএড স্কেলে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে কয়েক দফা অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেই তিনি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষক জলিলুর রহমান জাল বিএড সনদ ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০০৫ সালের জুন মাস থেকে বিএড স্কেলে ১১ থেকে ১০ কোডে বেতন গ্রহণ করছেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি বিএড পাস করেননি। এ অবস্থায় ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক জলিলুর রহমানকে কারণ দর্শনোর চিঠি প্রদান করলেও জলিলুর রহামন এর কোনো জবাব দেননি। এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় এবং অধিদফতর থেকে চিঠি দিলেও তিনি তার কোনো জবাব দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক জলিলুর রহমান ১ জানুয়ারি ২০১৭ সাল থেকে কোনো ধরনের অবহিত না করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার বিএড সনদ জালিয়াতির বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে একাধিকবার তদন্ত হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিষয়ে চাকরির বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জলিলুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সনদ জালিয়াতি করেননি বলে দাবি করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদালতে একাটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এফএ/জেআইএম