অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে নোয়াখালীর প্রথম শহীদ মিনার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

১৯৫৩ সালে নোয়াখালীর কাজীরহাট এম.ই. স্কুল (বর্তমান কাজীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়) মাঠে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে ২১ ফ্রেব্রুয়ারি রাতে মাটি দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এটিই ছিল নোয়াখালী জেলার প্রথম শহীদ মিনার। কিন্তু ৬৯ বছর পরও এ ঐতিহাসিক শহীদ মিনারটির স্বীকৃতি মেলেনি। পাশাপাশি এর তেমন কোনো উন্নয়নও হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মাষ্টার আবদুল করিমের পরামর্শে তার কয়েকজন ছাত্র কাজীরহাট এম.ই স্কুল মাঠে কাদা-মাটি দিয়ে তৈরি করেন শহীদ মিনার। কিন্তু কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তির ইন্ধনে তাদের লেলিয়ে দেয়া মুসলিম লীগ কর্মীরা শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। তবুও তারা দমেননি। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে আবারও শহীদ মিনার বানিয়ে তারা ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে।

তিনবার এই শহীদ মিনারটি স্থান পরিবর্তন করার পর বর্তমানে এটি কাজীরহাট শহীদ আমান উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়। কিন্তু বছরে তিনবার পুস্পমাল্য অর্পণের আগে রং দিয়ে ভাঙা অংশ ঢেকে দিলেও বাকি সময় এটি থাকে বিবর্ণ ও অরক্ষিত।

এ বিষয়ে শহীদ আমান উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্ত্তীক লাল ভৌমিক বলেন, ‘আমরা এ ঐতিহাসিক শহীদ মিনারটি আধুনিকায়নের জন্য বেশ কয়েকবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এখনো সে আশ্বাসেই আমরা আছি।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল হক রেজু বলেন, ‘স্কুল গরীব তাই তার ফান্ডে যতটুকু আছে তা দিয়ে এ শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। আরো বর্ধিত ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেও কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলে বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে। এবার সরকারি বরাদ্দ না পেলে আগামী বছর ২১ ফেব্রয়ারি আসার আগে আমার ব্যক্তি উদ্যোগে হলেও এটি সংস্কার করব।’

মিজানুর রহমান/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।