মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগে মামলা


প্রকাশিত: ০৩:১৭ এএম, ২০ নভেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোদাচ্ছের হোসেনসহ দুই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

বৃহস্পতিবার রাতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন, নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. আবুল কালাম ও পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মো. আব্দুল হক। তাদের তিনজনকেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন মামলা হওয়ার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিররণে বলা হয়, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে ১৫৮টি শুন্য পদে  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয় সরকার। অভিযোগ রয়েছে, এসব নিয়োগে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে সেসময়কার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোদাচ্ছের হোসেন ও দুই অফিস সহকারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটা দেখিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের চাকরি দেন।

পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই সময় তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাদের। একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। দীর্ঘ তদন্তের পর গত ১৬ নভেম্বর জেলা শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ এ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।

নূর মোহাম্মদ/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।