বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘুরতে নিয়ে এসে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাত যুবকের মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে লৌহজং থানা পুলিশ। বুধবার রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে লৌহজং যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেফতাররা হলেন- মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের উত্তর যশলদিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে অমায়িক (২৩), একই গ্রামের মৃত রহিম শেখের ছেলে রনি শেখ (২৪), শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সোবাহানদি মাদবরকান্দির চাঁন মিয়া শেখের ছেলে জীবন শেখ (২৫), শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামের মো. মাসুদ আলী শেখের ছেলে আদনান (১৯), মৃত শাকিব হোসেনে ছেলে কাইফি মীর (২২) ও মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামের আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে রবিন (২৬)।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কেরাণীগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া দুই কিশোরীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় আদনান ও রিফাত নামে দুজনের। পরিচয়ের কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন (মঙ্গলবার) রাত ১০টার দিকে কথিত প্রেমিকরা ওই কিশোরীদের শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে নিয়ে যায়। ঘোরাফেরা শেষে গভীর রাতে তাদেরকে যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্জন একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

পরদিন (বুধবার) সকালে ভুক্তভোগীরা বাসায় ফিরে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ লৌহজং থানাকে বিষয়টি জানালে বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ছয় যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, এ ঘটনায় লৌহজং থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহেল (২৪) নামে এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। তাকেও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।