রাজশাহীর আদালতে ১০৭ পিপিকে অব্যাহতি
রাজশাহী জেলা, মহানগরের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা নিয়োগে আমূল পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে নিয়োগকৃত আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে শতাধিক আইন কর্মকর্তাকে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি/জিপি) শাখা’র সহকারী সচিব মো. আব্দুস ছালাম মণ্ডল স্বাক্ষরিত সলিসিটর/জিপি-পিপি (রাজশাহী)-২৯/২০০৯-২০ নং স্মারক মতে তিনি এ আদেশ রাজশাহীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করেন।
মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়, নবনিযুক্ত আইনজীবীদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতসমূহে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং এল আর ম্যানুয়েল ১৯৬০ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ৯ ও ২৭ (১৭) বিধির ক্ষমতাবলে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেনের পরিবর্তে অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এবং অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের পরিবর্তে মহানগর পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে জননিরাপত্তা দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি হিসেবে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মিঠু, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পিপি হিসেবে অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন খান নিয়োগ পেয়েছেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপির পদ অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পদে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিশেষ পিপি হয়েছেন অ্যাডভোকেট রাশেদুন নবী আহসান। মোট ৯৪ জন পিপি, বিশেষ পিপি এবং অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
আর রাজশাহী জেলা জিপি (সরকারি কৌঁসুলী) অ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকরের স্থলে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মঞ্জুর জামান মুকুল।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলী হিসেবে অ্যাডভোকেট সুনির্মল সাহাসহ মোট ১২ জন এই পদে বিভিন্ন আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আদেশে অবিলম্বে এই নিয়োগ কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর নবনিযুক্ত সরকারি কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট মুঞ্জুর জামান মুকুল বলেন, এ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ১৩ বছর পূর্বে আসা দরকার ছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রকৃত ত্যাগীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থান পেয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো। জেলা প্রশাসন এবং সরকারি কৌঁসুলী মিলে আমরা নতুন উদ্যোমে কাজ করবো।
এসএমএম/জেআইএম