বানারীপাড়া পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন
বরিশাল জেলার বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. রিয়াজ আহম্মেদ মৃধা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া, মেয়র পদের ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বানারীপাড়া পৌরসভা কুন্দিহার এলাকার ৯ নম্বর কেন্দ্রের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন রিয়াজ আহম্মেদ মৃধা।
রিয়াজ আহম্মেদ মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ৯টি কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথ থেকেই ভোট শুরুর আগেই পৌনে ৮টার দিকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এরপর তিনি ঘুরে ঘুরে ওই সব কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের বসিয়ে দিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর ফের তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। সকাল ৮টার দিকে তার মেয়ে ঊর্মি আহম্মেদ ৯ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এসময় ঊর্মির হাত থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একে একে সব কেন্দ্র দখলে নেয় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। কোথাও কোথাও ভোটারদের মেয়র পদের ব্যালট দেয়া হয়নি। আবার কোথাও ভোটারদের কাছে থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ১২৭ জন। তবে কেন্দ্র দখল নিতে ১০ হাজারেরও বেশি বহিরাগতদের নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সকাল থেকেই বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন না। প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভোট সন্ত্রাস করায় তিনি ভোট বর্জন করছেন।
এদিকে দুপুরে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী মো. জিয়াউল হক মিন্টু।
বানারীপাড়া পৌরসভার কুন্দিহার এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে মারধর, অবরুদ্ধ করে রাখা, সব কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে বুথের ভেতর অবস্থান নিয়ে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করা এবং তার নির্বাচন সমন্বয়কারী ও ভাতিজাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল।
তবে এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম। তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি। তাহলে সব কেন্দ্র থেকে তার এজেন্ট বের করে দেয়া হলো কীভাবে, তা বোধগম্য নয়।
সাইফ আমীন/এসআর/জিকেএস