সৌন্দর্যের আরেক নাম দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জুয়েল সাহা বিকাশ, মনপুরা থেকে ফিরে

সৌন্দর্যের আরেক নাম দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচ। এ বিচে উপভোগ করা য়ায় সাগরের উত্তাল ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, অতিথি পাখির সমারোহ ও প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভোলার মনপুরা উপজেলায় অবস্থিত এই বিচটি। এখানে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যাও।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠে একটি বিচ। সাগরের মোহনা ও দক্ষিণা বাতাসের কারণে এর নাম করণ করা হয় ‘দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচ’। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ কাজলের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাইয়ে শুরু জায়গাটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।

jagonews24

এখানে উপভোগ করা যায় সাগরের ঢেউ, প্রাকৃতিক বনায়নের সবুজ সমারোহ, অতিথি পাখি, হরিণ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের দৃশ্য। এছাড়া রয়েছে পর্যটকদের বসার বেঞ্চ, দোলনা, মোটরসাইকেল ও স্পিডবোর্ডে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। দৃষ্টিনন্দন এ বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সারাদেশ থেকে আসছেন শত-শত পর্যটক।

চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. সবুজ ও তার স্ত্রী আসমা আক্তার বলেন, আমরা কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ঘুরেছি। ভোলার মনপুরা দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচের নাম শুনে এখানে ঘুরতে আসলাম। অনেক সুন্দর একটি স্থান। এখানে এক সঙ্গে অনেক দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি। যা অন্য পর্যটন স্থানে দেখা যায় না।

jagonews24

তারা আরও বলেন, এখানে সবই অনেক সুন্দর। কিন্তু থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে থাকার জন্য যেতে হয় অনেক দূরে। যদি এখানে সেই ব্যবস্থা থাকে তাহলে পর্যটক বাড়ত।

চরফ্যাশন থেকে আসা পর্যটক সুমনা আক্তার সুমি বলেন, আমি অনেকের মুখে দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচের নাম শুনেছি। আজ প্রথম আসলাম। অনেক ভালো লাগল। এখান থেকে যেতে মন চায় না।

একই উপজেলা থেকে আসা মো. মনির হোসেন বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে পিকনিক করতে আসলাম। অনেক সুন্দর একটি জায়গা।

তার দাবি, সি-বিচটি যদি আরও উন্নত হয় তাহলে এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

jagonews24

বরিশাল থেকে আসা মোহাইমুনুল হাসান বলেন, এখানকার সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হয়েছি।

দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচের উদ্যোক্তা অলিউল্লাহ কাজল বলেন, অল্পদিনে বেশ পরিচিতি লাভ করা এই বিচটি আরও দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য করার জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সহযোগিতা পেলে এটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটক স্থানে পরিণত হবে।

ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচে পর্যটকদের জন্য রেস্ট হাউস নির্মাণ, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। আশাকরি খুব দ্রুত বিচটি আরও উন্নত করতে পারব।

যেভাবে যাওয়া যাবে দক্ষিণা হাওয়া সি-বিচে

ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়াগামী লঞ্চে চড়ে মনপুরার রামনেওয়াজ ঘাটে এসে নামতে হবে। এরপর মোটরসাইকেল বা অটোরিকশাযোগে বিচে যাওয়া যাবে।

এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।