আড়াই বছর পর কবর থেকে ব্যবসায়ীর দেহাবশেষ উত্তোলন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কবর দেয়ার আড়াই বছর পর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহাবশেষ পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকাধীন হাইল হাওরে অবস্থিত ‘রাজা ফিশারিজ অ্যান্ড হ্যাচারি কমপ্লেক্স’র স্বত্বাধিকারী ছিলেন মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়া।
দেহাবশেষ উদ্ধারের সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর, শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ও বিপুলসংখ্যক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা খানম দেহাবশেষ উত্তোলন কার্যক্রম তদারকি করেন।
এসআই আলমগীর জানান, রাজা মিয়ার ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজার একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলা আদালত দেহাবশেষ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, রাজা মিয়ার বিপুল সম্পত্তির লোভে দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহান রানী রাজা মিয়াকে বালিশ চাপা অথবা বিষ প্রয়োগ কিংবা অন্য কোনো উপায়ে হত্যা করা হতে পারে। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে কবর থেকে দেহাবশেষ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আর্জি জানানো হয়।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মারা যান রাজা মিয়া। এসময় তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। রাজা মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে দুই স্ত্রী পক্ষের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। গত বছরের ২৬ আগস্ট বাবার মৃত্যুকে স্বাভাবিক মেনে না নিয়ে প্রথম পক্ষের ছেলে গোলাম মুরসালিন রাজা একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সৎমা নূরজাহান বেগমকে প্রধান ও ভাই দেওয়ান আলামিন রাজা, দেওয়ান সেলিম, দেওয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস লিখন ও নাছির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
এসআর/এমএস