চেক জালিয়াতির মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেফতার
চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদকে (৩৫) আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধুনট বাজারের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সুলতান মাহমুদ ধুনট পৌর এলাকার সদরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান মাহমুদ ২০১৭ সালে ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি প্রশাসনিক তদবির ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি মন্ত্রী, সাংসদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নামে কনস্টেবল, শিক্ষক, ব্যাংক ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। সব চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় সুলতান মাহমুদ রূপালী ব্যাংক ধুনট শাখায় তার সঞ্চয়ী হিসাবের একটি করে চেক দেন। কিন্তু তার ওই ব্যাংক হিসাব নম্বরে কোনো টাকা জমা ছিল না।
এসব কারণে তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি, প্রতারণা, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় থানা ও আদালতে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর একটি মামলায় তার ৯ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ ওই মামলায় প্রায় এক বছর আগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করে সম্প্রতি এলাকায় ফিরে এসে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে আরও দুটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় পুলিশ তাকে ফের গ্রেফতার করে।
ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম জানান, সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় দু’বছর আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এআরএ/জিকেএস