তীব্র শীতে আর্থিক সহায়তা দাবি খেটে খাওয়া মানুষের
শীতের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে। অব্যাহত রয়েছে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, সপ্তাহজুড়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষি শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ।
তবে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে। ঝলমলে রোদে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষজন।
সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
কনকনে শীতে কাজে যোগ দিতে সমস্যায় পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন দুর্যোগে শুধু শীতবস্ত্র নয়, আর্থিকভাবেও সহযোগিতা দাবি করেছেন তারা।
জেলা শহরের রামের ডাংগা মহল্লার কুলি শ্রমিক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কম্বল পেয়েছি। কষ্ট করে দিনরাত পার করছি। কিন্তু আমাদের কাজ শুরু হয় ভোর বেলায়। ঠান্ডার কারণে হাত দিয়ে কাজ করা যায় না। এই সময় আমাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই পর্যায়কে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সপ্তাহজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সফিকুল আলম/এফএ/এমকেএইচ