২৫ দিন পর চোখ মেলল চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া শিশু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাত (১১ বছর) এক শিশু গুরুতর আহত হয়ে ২৫ দিন ধরে অচেতন ছিল। প্রথম দিকে তার বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন চিকিৎসকরা। অবশেষে চোখ মেলেছে সেই শিশু। কিন্তু এখনো সে কোনো কথা বলেনি।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৩ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর থেকেই সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

শিশুটির পরিবারের কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। ফলে জানা যায়নি তার নাম-পরিচয়ও। হাসপাতালে আনার পর থেকে শিশুটির সেবাযত্ন করছেন ক্লিনার উজ্জ্বল মিয়া। শিশুটি খাবার খেতে না পারায় তাকে বিভিন্ন ফলের রস সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ান তিনি।

ক্লিনার উজ্জ্বল মিয়া বলেন, খিচুড়ি, সুজি ও ফলের রসসহ বিভিন্ন তরল খাবার শিশুটি খেতে পারে। ডাক্তার ও নার্সরা টাকা দিলে খাবার এনে শিশুটিকে খাওয়াই। সে কার সন্তান তা আমি জানি না। তার প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। আমি এর মাঝে লাভক্ষতি খুঁজি না।

অজ্ঞাত শিশুটি হাসপাতালের সার্জারি চিকিৎসক নিজাম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। তার মুখের ভেতরে ও এক মাস ধরে বিছানায় শুয়ে থাকায় শরীরের পেছনের অংশে ঘা হয়েছে। আমরা যথাসম্ভব চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বলেন, প্রথম দিকে শিশুটিকে নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। চিকিৎসকদের চেষ্টায় শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তার ওষুধসহ যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, শিশুটির পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। কেউ খোঁজও নেয়নি তার। শিশুটি যেহেতু কথা বলতে পারে না, তাই খুঁজে বের করা একটু কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও চেষ্টা করছি।

এসএমএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।