নাচে-গানে খুমিদের জুম ফসলের নবান্ন উৎসব
বান্দরবানে জুম ফসলের নবান্ন উৎসব পালন করেছে খুমি জনগোষ্ঠী। রোববার (৩১ জানুয়ারি) রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে সাংকিং পাড়ায় এ উৎসব পালিত হয়। জেলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের (কেএসআই) আয়োজনে এ উৎসবে অংশ নেন তারাছা এলাকার কয়েকটি খুমি পাড়ার বাসিন্দারা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সিংঅং খুমি।
তিনি বলেন, জুম ধান কাটার শেষে নতুন ফলমূল ও বিনি চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। এ সময় পাড়ার ছেলেমেয়ে ও বয়োবৃদ্ধ সবাই একসঙ্গে আনন্দ-উৎসব করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জুমচাষের জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে বীজ রোপণ ও ধান কাটা পর্যন্ত নানান প্রক্রিয়া রয়েছে। কয়েকমাস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জুম কাটার পর একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। এ উৎসবকে খুমি ভাষায় ‘চাথা চানা পই’ নামে বলা হয়।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক মংনুচিং মারমা বলেন, জুমধান ও নতুন ফসল তোলার পর কয়েকটি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। জুমচাষের পাশাপাশি আদিবাসীদের জীবন পদ্ধতি ও তাদের কৃষিভিত্তিক জীবন ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এদিন উৎসবের শুরুতে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি পাড়া প্রদক্ষিণ শেষে পাহাড়ে নবান্ন উৎসবে মিলিত হয়। সেখানে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন ধরনের জুমধান, জুমের সরঞ্জাম ও বিনি চালের পিঠা।
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গান পরিবেশন করেন খুমি শিল্পীরা। সাংকিং পাড়ার কারবারি নাংঅং খুমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও গবেষক শামসুদ্দিন শিশির এবং উন্নয়ন সংস্থা কথোয়াই-এর নির্বাহী পরিচালক গাব্রিয়েল ত্রিপুরা।
এসএস/এমএস