ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের ৭ কর্মকর্তার পদ শূন্য


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

দিনাজপুরে ফুলবাড়ীতে উপজেলা পরিষদের জন গুরুত্বপূর্ণ সাত কর্মকর্তার পদ র্দীঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। শূন্য রয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা , মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা , আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও সাব রেজিস্ট্রারের পদ।

এই সাত কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করতে আসা জনসাধারণের পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এসব অফিসগুলোতে  অতিরিক্ত দায়িত্বে আছে অন্য উপজেলার কর্মকর্তারা, তারা কেবল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান এবং অতি জরুরি কাজ করেন। মাসে দুই/এক দিন অফিসে আসেন তারা।

কর্মকর্তা শূন্য উপজেলা অফিসগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সেলিম ফুলবাড়ী থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান, এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মঈনুল হক।

গত ২০০৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মজিবর রহমান ফুলবাড়ী থেকে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পরিসংখ্যান অধিদফতরের দিনাজপুর জেলা উপ-পরিচালক আরিফুল ইসলাম।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মধু শোধন দাস গত ২০০৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বদলি হয়ে চলে যান। এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমির হোসেন।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা গত ২০১৪ সালেন ৬ মার্চ বদলি হয়ে যাওয়ায়, সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, পার্বতীপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমুদা ইসলাম।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আল বোরোরী গত ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল বদলি হয়ে চলে গেছেন। এরপর থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বিরামপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন মন্ডল।

গত ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বদলি হয়ে চলে যান। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন আনছার ভিডিপি মাহমুদা বেগম।

এছাড়া ফুলবাড়ী সাব রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন নবাবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার শংকর চন্দ্র বর্ম্মন।

জনগুরুত্বপূর্ণ এসব অফিসে নিয়মিত কর্মকর্তা না থাকায় জনসাধারণ কাজ করতে এসে দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন কাজে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের কাছে নিয়মিত যেতে হয়। কিন্তু  নিয়মিত এসব কর্মকর্তারা না থাকায় হয়রানি হতে হয়।

এমদাদুল হক মিলন/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।