নাতির কোলে চড়ে ভোট দিলেন ১৩০ বছরের তালেমন
বয়সের ভারে দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় ১৩০ বছর বয়সী তালেমন বেওয়া। নাতি-নাতনির সহযোগিতায় বিছানাতেই খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু তাতে কী, ভোট তো দিতেই হবে। ভোট দেয়ার জন্য বায়না ধরলেন নাতির কাছে।
তাই দাদির আবদার মেটাতে শেষ পর্যন্ত কোলে করে নিয়ে পৌর নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রে আসেন নাতি আব্দুস সামাদ।
বলছিলাম বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিম ভরণশাহী গ্রামের মৃত আমজাদ খানের স্ত্রী তালেমন বেওয়ার কথা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরণশাহী বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তালেমন বেওয়া।
ভোট দেয়া শেষে তালেমন বেওয়া বলেন, ‘বাবা বয়স হইছে, যেকোনো সময় আল্লাহ নিয়া যাইব। আর কখনো ভোট দিতে পারব কি না জানি না। তাই ভোট দিতে আসলাম।’
নতি আব্দুস সামাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দাদি খুব অসুস্থ। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। নির্বাচনের কথা শুনেই ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বায়না শুরু করলেন। অনেক বোঝানো সত্ত্বেও তিনি ভোট দেয়ার ব্যাপারে অটল ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোলে নিয়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে এনেছি। ভোট দিয়ে দাদি খুব খুশি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি দাদি যেন আরও কয়েকটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
ধুনট পৌর এলাকার ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩১টি বুথে ১১ হাজার ৭১৩ জন ভোটার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৬৩৭ এবং নারী ভোটার ৬ হাজার ৭৬। তারা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রয়োগ করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, কাউন্সিলর পদে ৩৩ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এফএ/এমএস