কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত
অডিও শুনুন
কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জেলায় আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এতে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দিনে সামান্য কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও অধিকাংশ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা। দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। কনকনে ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষেরা। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাট ও বাজারে কমেছে লোকজনের আনাগোনা।
খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। এ কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের।
অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে।
যাত্রাপুর এলাকার ঘোড়ার গাড়িচালক আয়নাল মিয়া বলেন, 'অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঘোড়াগুলো দৌড়াতে পারছে না। আমারও প্রচুর ঠান্ডা লাগছে। কিন্তু কী করবো? মালামাল পরিবহন না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।’
কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানগাড়িচালক জব্বার আলী জানান, ‘কয়েক দিন থেকে প্রচুর ঠান্ডা যাচ্ছে। শীতের কাপড় পরেছি। তবুও ভ্যানগাড়ি চালালে সেই কাপড় ভেদ করে ঠান্ডা বাতাস লাগছে। এতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
ভোগডাঙ্গা এলাকার খড়ি বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। একদিন খড়ি বিক্রি করতে না পারলে পেটে ভাত যায় না। শীতবস্ত্র কেনারও সামর্থ্য নেই। তাই হালকা কাপড়েই বেরিয়ে পড়েছি খড়ি বিক্রি করতে। খুবই ঠান্ডা লাগছে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
মাসুদ রানা/এসএমএম/এমএস