ভৈরবে সংঘর্ষ : সাড়ে ৫শ জনকে আসামি করে মামলা


প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

সোমবার ভৈরবের গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫৯ জনসহ অজ্ঞাত সাড়ে ৫শ লোককে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় সোমবার রাতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজমুল হুদা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নবীন লীগের সভাপতিসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন, ভৈরব উপজেলা নবীন লীগের সভাপতি রাজু আহমেদ (২৮), আবুল কাশেম (৩৭), ফারুক মিয়া (৩৪), আব্দুল আলী (৬৫), মুছা মিয়া (৩২), সোহেল মিয়া (২২), মামুন মিয়া (২৮), আব্দুল­াহ (৪০) ও সুলাইমান (২৭)। মঙ্গলবার পুলিশের ভয়ে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পালিয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ভৈরবে শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও নবীন লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে ও সোমবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের, এস আই নজমুল হুদা ও কনস্টেবল বকুল মিয়া ছিলেন। সংঘের্ষের সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৫৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

এলাকার বদু বংশের জয়নাল মেম্বার ও সুলাইমান বংশের হুমায়ুন এই দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বাধে বলে এলাকাবাসীরা জানান। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার এক মাস আগেও এই এলাকায় একই কারণে সংঘর্ষ হলে তখন ২৫ জন আহত হন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে উক্ত ঘটনায় এক সালিশি দরবারে ঘটনাটি মীমাংসাও হয়েছিল। এরপরও গত সোমবার এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ৫৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আওয়ামী লীগের নতুন সংগঠন নবীন লীগের ইউনিয়ন কমিটি গঠন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা সূত্রপাত।

এ ব্যাপারে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর জাগো নিউজকে জানান, নবীন লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ এ কথা ঠিক নয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় দুটি পক্ষ সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ ঘটে।

ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, নবীন লীগের নতুন কমিটি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই বার বার এ সংঘর্ষ হচ্ছে। সামাজিকভাবে এ ঘটনার মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশ আহত হওয়ায় এবং সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে ৯ জনকে আটকসহ এ মামলা করা হয়েছে।

আসাদুজ্জাম ফারুক/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।