ভুল করলেন ডাক্তার, জরিমানা গুনলেন কসাই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

বরগুনার তালতলী বাজারে একটি গাভী বিক্রির জন্য ডাক্তারি পরীক্ষার পর জবাই শেষে পেটে বাচ্চা পাওয়ায় কসাইকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলা মাছবাজার সংলগ্ন জেডিঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

স্থানীয় ও ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, জবাই করার আগে বাজারের প্রতিটি গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। পরীক্ষা শেষে পেটে বাচ্চা বা অন্য কোনো সমস্যা নেই বলে লিখিত একটি টোকেন দেয়া হয়। সে নিয়মেই তালতলী বাজারের মাংস বিক্রেতা কসাই জালালের একটি গাভী পরীক্ষা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এ আই টেকনিশিয়ান মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শারীরিক কোনো ধরনের সমস্য ও পেটে বাচ্চা নেই বলে ছাড়পত্র দেন। এরপর কসাই জালাল গরুটি জবাই করলে পেটে বাচ্চা দেখা যায়। খবর পেয়ে উপজেলা স্যানিটারি অফিসার গরুটি জব্দ করে মোবাইল কোর্টে সোপর্দ করেন।

jagonews24

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কসাই জালালকে ২০ হাজার টাকা জরিমান করেন। অনাদায়ে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কসাই জালাল বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এআই টেকনিশিয়ান মো. মাহবুবুর রহমানের ভুলের কারণে আমাকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের ভুলের কারণে আমি কেন খেসারত দেব?

এআই টেকনিশিয়ান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, দিনে আমাদের অনেক গরু পরীক্ষা করতে হয়। এজন্য এগুলো বোঝা যায় না। তাই আমার ভুল হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কসাই জালালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।

আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।