তফসিল ঘোষণার আগেই আ.লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি


প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

এখনো পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভায় দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি সম্পূর্ণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যতিব্যস্ত দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। হাই কমান্ডে চলছে লবিং তদবির। সব মিলিয়ে নরসিংদী জুড়ে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। তবে আওয়ামী লীগের তুলনায় পিছিয়ে আছে বিএনপি। নির্বাচনকে গিরে তেমন কোনো তোড়জোর নেই বিএনপির দুর্গে।

দলীয় সূত্রে জানা জায়, আসন্ন মাধবদী পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গত সোমবার থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মেয়র পদে দুই জন, ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৯ জন ও ৪টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এ বারের মাধবদী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসাবে ছয় জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আছে দুইজন। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কমিশনার।

বিএনপির তিন প্রার্থী হলো, বর্তমান পৌর মেয়র হাজী মো. ইলিয়াছ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সমীর ভূইয়া ও মাধবদী পৌর বিএনপির সভাপতি আমানুল্লাহ আমান।

জাতীয় পার্টি থেকে মাধবদী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মো. শফি উদ্দিনের নামও উচ্চারিত হচ্ছে। তবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বর্তমান মেয়র হাজী মো. ইলিয়াছ, হাজী মোশারফ হোসেন প্রধান মানিক, আনোয়ার হোসেন কমিশনার।

নরসিংদীর মাধবদী পৌর নির্বাচনের প্রার্থীদের ব্যতিব্যস্ততা দেখে বুঝার সুযোগ নেই এখনো তফসিলই ঘোষণা হয়নি। শহর জুড়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা প্রতিদিন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছেন।

বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যস্ততা এখন বড় দুটি রাজনৈতিক দলের এবং দলের ধারা-উপধারার সমর্থন আদায় নিয়ে। ফলে ভোটযুদ্ধের মাঠে নামার আগেই প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে মনোনয়ন যুদ্ধ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক বলেন, ইতিমধ্যে শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের ৯৮ ভাগ নেতাকর্মী লিভিতভাবে আমাকে মেয়র পদে দলীয় নির্বাচনে সমর্থন জানিয়েছেন। আশা করি তৃণমূলের মতামতের ভিক্তিতেই মন্ত্রী মহোদয় আমাকে মনোনয়ন দিবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে নৌকার জয় এনে তাকে উপহার দিবো।

অপর মেয়র প্রার্থী সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হলে আমাকে পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার অঙ্গীকার করে বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমি নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তুলে ধরেছি। আশা করি দলের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তৃণমূল আমাকেই দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেঁচে নিবে।

মাদবদী পৌরসভার বর্তমান মেয়র হাজ্বী মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, দলমত নিরবিশেষে বিগত ৫ বছর এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি। এসব উন্নয়ন করা হয়েছে তা মাদবদী পৌরসভায় ইতি পূর্বে হয়নি। আশা করছি এলাকাবাসী ও দল বিয়টি মূল্যয়ন করবে।

সভায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী শহর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবে। একই ভাবে কাউন্সিলর পদে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবে। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সঞ্জিত সাহা/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।