একজন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে দুই উপজেলা নির্বাচন অফিস
জনবল সংকটে ভুগছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাচন অফিস। প্রায় এক বছর যাবত নির্বাচন কর্মকর্তার পদটি শূণ্য রয়েছে। যার ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় কর্মরত অফিসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আর সে কারণে তিনি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিনের বেশি অফিস করতে পারছেন না। এতে করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের হতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আর গুরুপ্তপূর্ণ এ সময়ে স্থানীয় ভোটাররা বহুমুখি সমস্যা নিয়ে অফিসে গেলেও সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার। এতে করে সমস্যায় পড়া মানুষের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে অফিস সহকারী মনজুরুলকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচন কর্মকর্তা, কম্পিউটার অপারেটর ও একজন অফিস সহকারীসহ মোট তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। কিন্তু ওই তিনজনের বিপরীতে কর্মস্থলে রয়েছেন মাত্র একজন অফিস সহকারী মো. মঞ্জুরুল কাইয়ুম। বাকি দুইটি পদই দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে।
সম্প্রতি নতুন ভোটার তৈরির প্রোগ্রাম শেষ হতে না হতেই পরিচয়পত্রের ভুল ত্রুটি সংশোধন এ মুহূর্তে প্রতিনিয়ত স্থানীয় ভোটারেরা সমস্যা নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসতে হচ্ছে। কিন্তু অফিসে কেউ না থাকায় ত্রুটি সংশোধন ছাড়াই তাদের ফিরতে হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে নেছারাবাদের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. খালেদ রউফকে পটুয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়। আর তখন থেকে শূন্য হয়ে পড়ে উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার প্রধান পদ। আর সে থেকে কাউখালি উপজেলা থেকে এসে এ পদে অতিরিক্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হারুন। দুই উপজেলার দায়িত্ব সামলাতে তিনি নেছারাবাদে সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনের বেশি সময় দিতে পারছেন না। আর সপ্তাহের বাকি চার দিন অফিস সামলাতে দেখা যাচ্ছে অফিস সহাকারী মো. মঞ্জুরুল ইসলাম কাইয়ুকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম তালুকদার জানান, বর্তমানে উপজেলায় প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। তবে জনবল সংকটে কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
হাসান মামুন/এআরএ/পিআর