৯৯৯ নম্বরে খদ্দেরের ফোন, যৌনপল্লী থেকে ১৪ কিশোরী উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ১৪ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) যৌনপল্লী থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন এক খদ্দের। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীরসহ পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পল্লীর নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে একই বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে আরও ১১ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, উদ্ধার কিশোরীরা বিভিন্ন সময় পাচার চক্রের মাধ্যমে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আসে। সেখানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছিল।

jagonews24

এম এম শাকিলুজ্জামান আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারো নাম-পরিচয় শনাক্ত না হলে তাদের সেফ হোমে পাঠানো হবে।

উদ্ধার হওয়া একাধিক কিশোরী জানায়, ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভনে তাদের যৌনপল্লীতে বিক্রি করা হয়। ঠিক মতো খাবার দেয়া হতো না। কিছু বললে বাড়িওয়ালি নাজমাসহ তার সহযোগীরা অমানবিক নির্যাতন চালাত। এখন আমরা বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই।

তারা আরও জানায়, জোর করে তাদের দেহব্যবসা করানো হতো। খদ্দের থেকে যে টাকা পেত, সে টাকা বাড়িওয়ালি নিয়ে যেত। বকশিশের টাকা দিয়ে জামা-কাপড় কিনত তারা। বাড়িওয়ালিসহ অন্যরা ভালো খাবার খেলেও তাদের দেয়া হতো পচা খাবার।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন, ডিআইও-১ সাইদুর রহমান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর, সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, ডিআইও-২ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

রুবেলুর রহমান/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।