কক্সবাজারে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অর্ধশতাধিক অসুস্থ
পর্যটন শহর কক্সবাজারের তারকা হোটেল লংবীচে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অর্ধশতাধিক কর্মজীবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৬ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকীদের গ্রাম্য চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকেই কর্মজীবীরা পর্যায়ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাইকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ২০-২৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এরা হলেন- আক্কাস আলীর ছেলে সোলাইমান (২৮), সানাউল্লাহর ছেলে লিটন, সুলতান আহমদের ছেলে নুরুল আমিন (২৩), হান্নান মিয়া (২৮), শেখ আহমদের ছেলে মিজান (৩৮) ও নেছার হোসেনের ছেলে ইয়ার হোসেন (২৬)।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান মুরাদ জানান, শনিবার দুপুরের দিকে ২ জন ও রাত ১০টার দিকে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এ অসুস্থতা হয়ে থাকে। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে উল্লেখ করেন ডা. মুরাদ।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে লংবীচ হোটেলের চিফ অপারেশন অফিসার মুহাম্মদ তারেক বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তারা অসুস্থ হয়নি। এটি লংবীচ হোটেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। মূলত সকালের দিকে ৩ জন কর্মচারী হঠাৎ ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে তাদের দ্রুত চিকিৎসা দেয়া হয়। রাতের দিকে আরো ৩ জন কর্মচারী একই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় সবাইকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কেন ভর্তি করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাইরাস জ্বর পরবর্তীতে ডায়রিয়ায় রূপ নিয়েছে।
অপরদিকে অসুস্থদের স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগের রাতে হোটেলের বিক্রি না হওয়া বাসি খাবার খেতে দেয়া হয়। যা খেয়ে বিষক্রিয়ায় বমি হতে থাকে সবার। পরবর্তীতে তা ডায়রিয়ায় পরিণত হয়। এটি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও অবস্থার অবনতি হলে রাতেই প্রায় ২০-২৫ জনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ৬ জনকে ভর্তি করা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. কমর উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এক সঙ্গে এতলোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কেউ জানাননি। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করবেন বলে জানান তিনি।
সায়ীদ আলমগীর/এসএস/পিআর