মাগুরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৬:২৪ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২১

মাগুরায় প্রার্থনা রাণী নামের এক গৃহবধূকে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ১৩ বছর পরে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক প্রণয় কুমার দাশ এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে দীর্ঘদিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি কাঙ্খিত রায় পেলেও আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অশিত কুমার বিশ্বাস শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রফুল্ল গাইনের মেয়ে প্রার্থনা রাণী (২৮) স্বনির্ভর বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে ২০০৬ সালের দিকে মাগুরার শ্রীপুরে আসেন। কর্মস্থল শ্রীপুরের খামারপাড়া এলাকায় নিত্য গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকাকালীন তার ছেলে অশিত বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

পরবর্তীতে তারা বিয়ে করে এক সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তারা পাশের হরিন্দী গ্রামে আব্দুল মান্নানের বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন। তাদের ঘরে একটি কন্যা ও পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

এর মাঝে অশিত বিশ্বাস ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রার্থনার বাবার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের যৌতুকের দাবিতে বারবার চাপ দিতে থাকেন। চলে নির্যাতনও। সর্বশেষ যৌতুকের দাবিতে ২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে অশিত বিশ্বাস স্ত্রী প্রার্থনার গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করেন। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি নিহতের মামা গৌতম কর শ্রীপুর থানায় স্বামী অশিত বিশ্বাস ও তার মা নিভা রাণীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে বিচারক অশিত বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অশিতের মা নিভা রাণীকে খালাস দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মামলা চলাকালীন আসামি অশিত কিছুদিন হাজত বাস করলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। যে কারণে আসামির অনুপস্থিতিতেই বিচারক এ রায় ঘোষণা করেছেন।

এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।