রূপগঞ্জে আ. লীগের একক প্রার্থী : বিপাকে অন্যান্য দল


প্রকাশিত: ০৬:৪৭ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। এ নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও প্রার্থিতা নিয়ে বেকায়দায় পড়তে পারে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি।

তফসিল ঘোষণা না হতেই জেলার তারাবো পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন আ.লীগ, বিএনপি নেতারা। তবে জামায়াত ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতারা এখন সক্রিয় নয়। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগ থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা-লীগের সভানেত্রী হাসিনা গাজী ।

বর্তমান মেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং এর পাশাপাশি এলাকায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। এবার তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত নয়। বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আলহাজ নাসির উদ্দিনের নাম সামনে আসছে। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে গেলে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। জামায়াত ইসলাম এখনও পুরোপুরি প্রচারণায় নামেননি।

পৌর নির্বাচনের নতুন আইন অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ওই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ফলে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক পেতে প্রার্থীরা জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। বড় দলগুলো ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে দলকে চাঙ্গা করতে কাজ করে যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। এই নির্বাচনে মেয়র পদ উদ্ধার করাই আওয়ামী লীগের বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।

পৌরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আওয়ামী লীগের বর্তমানে একক প্রার্থী স্থানীয় সাংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের সহধর্মিণী হাসিনা গাজীর সমর্থনে পুরো এলাকা পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় জাতীয় নেতাদের ছবি সংবলিত রঙিন পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো শুরু হয়েছে আরও আগেই। এখন চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের লোকবল প্রদর্শনের মহড়া। পদপ্রত্যাশীদের পক্ষে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চলছে পুরোদমে।

২০০২ সালে গঠিত এ পৌরসভায় ভোটার রয়েছে ৮০ হাজারের বেশি। গত মেয়াদের নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছিলেন শফিক চৌধুরী। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবেই মেয়র পদে নির্বাচনের আভাস দিয়েছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন তার দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। বিএনপির একাধিক প্রার্থী হলেও ক্ষমতাসীন দলের একক প্রার্থী হিসেবে এ পৌরসভার মেয়র পদে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) এর সহধর্মিণী হাসিনা গাজী।

জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিলে জয়নাল আবেদীনের মনোনয়ন নিশ্চিত বলেও প্রচারণা রয়েছে। গত পৌর নির্বাচনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জাগো নিউজকে বলেন, এখানে আওয়ামী লীগে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হবে।  

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল­া জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি উপজেলা রূপসী গাজী ভবনে আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে হাসিনা গাজীকে তারাবো পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তৃণমূল সমর্থন দিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয়ী করতে এখন থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কোন্দল রয়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে। এ পৌরসভার বিএনপি নেতাদের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিও পৃথকভাবে পালন করতে দেখা যায়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান বিবদমান একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন। অন্য গ্রুপে আছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপির প্রার্থীও বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, বিএনপির দলীয় প্রার্থী এখনও চুড়ান্ত হয়নি।  

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।