বঙ্গোপসাগরে নৌ-দুর্ঘটনায় দুই জেলে নিহত


প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

বঙ্গোপসাগরের জাহাজখাড়ি নামক স্থানে নৌ দুর্ঘটনায় কুতুবদিয়ার দুই জেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটলেও মরদেহ উদ্ধার হয়েছে শনিবার বিকেল ৫টায়। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

নিহত জেলেরা হলেন কুতুবদিয়া দ্বীপের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে জামসেদ (২২) ও তার চাচাতো ভাই আমির হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান (২০)। এ ঘটনায় আহতরা হলেন নাছির উদ্দিন (২৩) ও মাঝি শাহাব উদ্দিন (৩৫)।

ট্রলারের মাঝি শাহাব উদ্দিন বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় কুতুবদিয়া দ্বীপের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামের উপকূল হতে আটজন জেলেসহ এফবি আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশে সাগরে যাওয়ার পথে ভোর ৪টায় জাহাজখাড়ি নামক স্থানে ট্রলারটি পৌঁছলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আরেকটি মাছ ধরার ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের ট্রলারটি (এফবি আল্লাহর দান) সাগরে ডুবে যায়।

তিনি আরও বলেন, ধাক্কা দিয়েই ট্রলিটি তাদেরকে উদ্ধার না করে গভীর সাগরে দিকে চলে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়া জেলেদেরকে সাগরে ভাসতে দেখে চকরিয়ার বদরখালীর একটি ফিশিং ট্রলার ছয় জেলেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ খবর পেয়ে তাদের সঙ্গে থাকা অন্যান্য ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলারটি উদ্ধার করে শনিবার বিকাল ৫টার সময় অমজাখালীঘাটে নিয়ে আসে।

তখনো নিহত জেলে জামসেদ ও আজিজুর রহমান নিখোঁজ ছিলেন। সাগরে ডুবে যাওয়া আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলারটি উদ্ধার করে কূলে এনে পানি সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ থাকা জেলে জামসেদ ও আজিজুর রহমানকে ট্রলারের ভিতরে (১২ ঘণ্টা পর) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একই পরিবারের দুই জেলে নিহত হওয়ায় এলাকায় এবং তাদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারের মালিক আবদুস সালাম প্রকাশ গুনু মিয়া বলেন, তিনি নিহত ও আহতদের পরিবারে খোঁজ নিচ্ছেন। নিহত জেলেদের দাফন ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংসা থোয়াই রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।