চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা : ৬টি শ্রমজীবী পরিবারে আতঙ্ক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় ছয়টি শ্রমজীবী পরিবারের বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ২৪ ঘণ্টা পরও থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের বড়দৈন গ্রামে শুক্রবার রাতের ওই হামলায় পাঁচ নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়দৈন গ্রামের পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের কয়েক যুবক কর্তৃক ওই ইউনিয়নের হাটবাইর গ্রামের এক যুবকের মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা মিমাংসার জন্য বড়দৈন গ্রামের শাহাবুদ্দিন চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হলে হাটবাইর, নোয়াগ্রাম, রতনপুর গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসী বড়দৈন গ্রামের শফিউল্লাহর বাড়িতে একটি সংঘবদ্ধ দল শুক্রবার রাতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ বিষয়ে শফিউল্লাহ জানান, আবুল কাশেম, আব্দুস সালাম, রাহি, আব্দুল কাইয়ূম, নুর হোসেন, মীর হোসেন, ইয়াছিন, রাসেল, সাইফুলসহ ২০-৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হামলা চালিয়ে তার একটি ঘরসহ শাহাবুদ্দিন, আমির হোসেন, হাবিব উল্লাহ, জাফর ও জবেদা খাতুনের ছয়টি টিনের ঘর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে ঘর ও ঘরের মালামাল ব্যাপক ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়।
এসময় নাছিমা বেগম (২৮), জোৎস্না বেগম (২৪), মঞ্জু আক্তার (১৫), লাকী আক্তার (১২) ও রাহেনা বেগমসহ (২৪) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ছয়টি পরিবারে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই এসআই আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কামাল/এমএএস/বিএ